খনার ১০০টি বচন - Khanar bochon APP
খনা মিহিরের স্ত্রী। খনার শ্বশুর বরাহ নামকরা জ্যোতিষী ছিলেন। খনার জন্ম হয় বাংলাদেশে এবং জীবনকাল অতিবাহিত করেন বাংলা ভূখন্ডে। মিহিরের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হওয়ায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলায় বসবাস করেন। খনার রচিত বচনে বাঙালির জীবন-যাপন রীতি, কৃষি, বৃক্ষরোপণ, পশুপালনসহ যেসব কাজে ব্যস্ত থাকত সেসব কাজের উপদেশমূলক বাক্য রয়েছে। এসব বাক্য মেনে চললে উপকার পাওয়া যায়।
খনার বচন মূলত কৃষিতত্ত্বভিত্তিক ছড়া। আনুমানিক ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে রচিত। অনেকের মতে খনা নাম্নী জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী বাঙালি নারীর রচনা এই ছড়াগুলো। তবে এ নিয়ে মতভেদ আছে। অজস্র খনার বচন যুগ-যুগান্তর ধরে গ্রাম বাংলার জন-জীবনের সাথে মিশে আছে। জনশ্রুতি আছে যে, খনার নিবাস ছিল চব্বিশ পরগণার তৎকালীন বারাসাত মহকুমার দেউলি গ্রামে। এমনকি রাজা বিক্রমাদিত্যের সভার নবরত্নের একজন বলে কথিত।
এই রচনা গুলো চার ভাগে বিভক্ত:
-কৃষিকাজের প্রথা ও কুসংস্কার।
-কৃষিকাজ ফলিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান।
-আবহাওয়া জ্ঞান।
-শস্যের যত্ন সম্পর্কিত উপদেশ।
খনার প্রতিটি বচনেই রয়েছে অর্থবহ গভীর তাৎপর্য। কিছু উল্লেখযোগ্য খনার বচন এই এপে উল্লেখ করা হলো।